,

হিরো আলমের ‘নিউজ করায়’ দুই সাংবাদিককে যুবলীগ নেতার মারধর

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া:  বগুড়ার উপনির্বাচনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের সংবাদ প্রকাশ করার জেরে দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

বুধবার রাতে সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরের টেম্পল রোডের জেলা আওয়ামী লীগ অফিস-সংলগ্ন টাউন ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার দুজন হলেন বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জে এম রউফ এবং স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক বগুড়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম।

মারধরের ঘটনার পর থেকে পালিয়ে আছেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শিপুল।

হামলার শিকার জে এম রউফ জানান, তিনি টাউন ক্লাবের অফিসে (ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে) বসে উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ লিখছিলেন। ওই কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিক প্রদীপ মহন্ত ও জহুরুল ইসলাম ছাড়াও তার আরও দুই বন্ধু উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা শিপুল মদ্যপ অবস্থায় সেখানে প্রবেশ করেন। এ সময় আমি হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও অফিসের মেইলে পাঠিয়েছি বলে অফিসে ফোনে জানাচ্ছিলাম। এটি শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন শিপুল। তিনি আমাদের ওপর হামলা করেন।

জে এম রউফ বলেন, হামলার বিষয়ে শিপুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করব। সেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

আরেক সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিপুল মদ্যপ অবস্থায় এসেই অকথ্য ভাষায় কথা বলছিল। হিরো আলমের নিউজের কথা শুনেই আরও ক্ষিপ্ত হয়। প্রথমে তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে আবার এসে মারপিট শুরু করে শিপুল। আমার জামার কলার দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ধরেছিল।’

এ বিষয়ে জানতে শরিফুল ইসলাম শিপুলকে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, শরিফুল ইসলাম শিপুল জেলার প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই সদর থানা ও সদর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু ততক্ষণে শিপুল পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি বলে জানায় পুলিশ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে বুধবার বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোটে লড়েন হিরো আলম। এর মধ্যে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর